সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে রাজাপুর সরকারী কলেজ। রোববার(১৪ আগষ্ট) বেলা ১২টায় কলেজের অডিটরিয়মে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বজলুল হক হারুন।
রাজাপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম বারী খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানিয়রা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধ্যক্ষ গোলাম বারী খান বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরে বলেন, ‘একদম শেকড় থেকে বা মাটির মানুষের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু উঠে এসেছেন। তিনি সারাজীবন তৃণমূল মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি হারুন বলেন, ৭৫’র ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। গোটা বাংলাদেশের মানুষ আগষ্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে পালন করে থাকে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেণের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুকে যে হায়নার দল হত্যা করেছিলো, তারা কখনো ভাবেনি তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসুরী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলার মাটিতেই খুনীদের বিচার করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তিনি বলেন, ‘যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতোদিন পৃথিবীর ইতিহাস থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততোদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে কারা ছিলো তাদের খুঁজে বের করতে হবে। বিশেষত যেসব দেশ বঙ্গবন্ধু হত্যার আগ মুহুর্তে বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের কোন হাত বা যোগসুত্র ছিলো কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে দেশে অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। তিনি জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান। একই সাথে শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধু আত্মজীবনী পড়ার আহব্বান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ, দুরুদপাঠ এবং দোয়া মুনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।